নাটোরের চলনবিল মাটিতে এখন সব্জি চাষ জনপ্রিয় হচ্ছে। এর অন্যতম উদাহারণ বড়াইগ্রাম-গুরুদাসপুর উপজেলায় ধান, পাট, রসুন আর ভুট্টার পাশাপাশি সবজির আবাদ । অন্য ফসলের আবাদে উৎপাদন খরচ বেশি হয় তেমনি দাম কৃষকেরা তুলনামুলকভাবে কম পায়। কিন্তু অল্প সময়ে কম পুঁজি বিনিয়োগ করে অধিক লাভ করা সম্ভব সবজি চাষে করে। আর এ কারনেই কৃষকেরা সব্জি আবাদে ঝুঁকছেন।
সবজি চাষে লাভবান হওয়ায় বড়াইগ্রাম উপজেলার কৃষকেরা পাট, রসুন আর ভুট্টার পাশাপাশি গত কয়েক বছর ধরে ফুলকপি, বাঁধাকপি, বেগুন, পালংশাক, লাল শাক, ধনেপাতারমত শীতকালীন সবজি আবাদ করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন।কৃষি বিভাগের পরামর্শে বাড়ির পাশের জমিতে ফুলকপি, বাধাকপি চাষ করে তারা প্রথম বছর হতেই আশার আলো দেখতে পান ।
সব্জি চাষ সম্পর্কে গুরুদাসপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবদুল করিম বলেন, সব্জি হচ্ছে পুষ্টি নিরাপত্তার অন্যতম উপাদান। এ বছর উপজেলায় ৩৫০ হেক্টর জমিতে শীতকালীণ সবজি চাষ হচ্ছে। অনুকুল আবহাওয়া আর পর্যাপ্ত বীজ-সারের সরবরাহ থাকায় উৎপাদন ভাল হয়েছে। আগামীতে এর আবাদ আরোও বৃদ্ধি পাবে। যারা পেশাদার সবজি চাষি তারা কৃষি বিভাগের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে আগাম চাষ করে ভালো দাম পাচ্ছেন।